ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০০ টাকা ছাড়াল
গত শনিবার রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ বাজার কারওয়ান বাজারে খুচরা বিক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকা কেজি দরে। অথচ গত বৃহস্পতিবার তা ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
গত শনিবার রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ বাজার কারওয়ান বাজারে খুচরা বিক্রেতারা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকা কেজি দরে। অথচ গত বৃহস্পতিবার তা ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ নেই বলে এই দাম বৃদ্ধি, জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শ্যামবাজার পাইকারি বাজারে অন্তত ১০ বস্তা পেঁয়াজ কিনতে গিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ি। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় মাত্র তিন বস্তা কিনেই ফেরেন তিনি।
কারওয়ান বাজারের এক খুচরা বিক্রেতা জানান, 'ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।'
এ ছাড়াও, স্থানীয় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায় বলে জানান ব্যবসায়িরা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিও পেঁয়াজের দামে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়িরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ায় দেশটি। দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (ডিজিএফটি) এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণার কথা বলা হয়েছে।
পেঁয়াজের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে আবারো এই ঘোষণা দিলো ভারত সরকার।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর, রপ্তানি কমাতে ও চলতি বছরের দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রতি টন ৮০০ ডলার নির্ধারণ করেছিল দেশটি।
বাংলাদেশ মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি উপর নির্ভর করে, তাই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার মূল্যের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের শুরুতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকার নিচে। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৩৫ টাকা দরে।
চলতি বছরের আগস্টে প্রতিবেশী দেশ ভারত তাদের বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
ডিজিএফটি তাদের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই সিদ্ধান্ত চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে ইতোমধ্যে রপ্তানির জন্য যেগুলোর লোডিং শুরু হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন প্রযোজ্য হবে না।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয় যে, অন্যান্য দেশের সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে ভারত সরকারের অনুমতির মাধ্যমে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যেতে পারে।
What's Your Reaction?