ঈদের উদযাপন করার প্রতিটি মুহূর্ত হোক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার সাথে
এসব পদেক্ষেপ অবলম্বন এর মাধ্যমে বেশ কিছু সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
মুসলিম সাম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় একটি উৎসব হলো ঈদুল ফিতর । এই ক্রমপর্যায় খুবই অর্থবহ । টানা ৩০ দিন রোজা অতিবাহিত করে চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে পবিত্র শাওয়াল মাসের প্রথম দিন ঈদ উদযাপন করা হয়।
এই ঈদকে কেন্দ্র করে চারদিকে খাওয়া দাওয়ার আমেজ হয়ে উঠে আরো ভরপুর। ঈদের সময় আনন্দ যতোটুকু গুরুত্ব তেমন স্বাস্থ্যসুরক্ষা আরো গুরুত্ব। কারন একমাস রোজা রাখার মধ্যে দিয়ে মানুষের জীবনে খাদ্যভাসের উপর বিপুল পরিমানের প্রভাব পরে।
ঈদকে কেন্দ্র করে সকলের ঘরে খাবারের ধুম পরে যায় । এর আমজে শুরু হয় সকাল থেকে বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্য দিয়ে যেমন: সেমাই,ফালুদা, ফিরনি ইত্যাদি। এছাড়াও থাকে হরেক রকমের মুখোরোচক খাবার যেমন: বিরিয়ানি,কোরমা, পোলাও ,চটপটি, কাবাব ,হালিম ,মুরগির রেজালা ইত্যাদি। হঠ্যাৎ অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। যেমন কি উচ্চরক্ত চাপ ,কোলেস্টোরল ,গ্যাষ্টিক,বদহজম ইত্যাদি । এভাবে লাগামহীন খাবার খাওয়ার ফলে পেটের ওপর অনেক চাপ পরে ।
ঈদের দিন নিজের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পর্যপ্ত পরিমান খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত। যাতে আমদের শরীরের উপর কোনো প্রভাব না ফেলে । মনের তৃপ্তির জন্য ভরপুর খাবার হতে পারে কিন্তু শারীরিক শান্তির জন্য পর্যাপ্ত পরিমান খাওয়া বাঞ্ছনীয় ।
ঈদের উপলক্ষে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে উদযাপন করা অনেক কষ্টসাধ্য । এই সময়টি আমাদের জন্য আনন্দের সময়, তবে আমরা খাবার খাওয়ার সময়ে যতেষ্ট সচেতনার মধ্য দিয়ে উপভোগ করতে পারি। এছাড়াও আমার সাধারন কিছু পদেক্ষেপ ও গ্রহণ করতে পারি যেমন:
১.বেশি বেশি তরল পানি পান করা।
২.একটি নির্দিষ্ট বিরতি পর পর খাবার খাওয়া।
৩.অতিরিক্ত মিষ্টি ও র্চবিযুক্ত খাবারে থেকে বিরত থাকা।
৪.ভিটামিন সর্মদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া ।
৫.নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিশ্রাম নেয়া
৬.সামন্য পরিমান ব্যায়াম করা ইত্যাদি ।
এসব পদেক্ষেপ অবলম্বন এর মাধ্যমে বেশ কিছু সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
What's Your Reaction?