প্রচন্ড গরমে দেশজুড়ে নাজেহাল অবস্থা
স্বাস্থ্যঝুকি এড়াতে সকল দিক বিবেচনা করে আগামী নির্দেশনা

দেশের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হচ্ছে এপ্রিল। প্রচন্ড গরমে দেশজুড়ে নাজেহাল অবস্থা। প্রতিনিয়ত দেশের তাপ প্রবাহের পরিবর্তন হচ্ছে। বিগত (২০ এপ্রিল) শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড গড়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস, এটি চলতি বছরের সবার্ধিক তাপমাত্রা । দেশের অতিরিক্ত তাপ প্রবাহের ফলে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পরেছে। শিশু ,বয়স্কসহ এবং সকল বয়সের মানুষ উপর বিরাট প্রভাব ফেলছে।
তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকের মত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার সঙ্গে বেড়ে চলছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা। গত তথ্যনুসারে, চট্টগ্রাম আনোয়ারায় ও চুয়াডাঙ্গা মোট ২ জন রোগী হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
হিটস্ট্রোক নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী কিছু মতামত প্রকাশ করেন তিনি বলেন অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া শরীর থেকে লবণ বেড়িয়ে যায়,যার ফলে মাথা ঘুরে, শরীর দূর্বল ও বমি বমি ভাব হতে পারে এছাড়া আরো কিছু লক্ষণও দেখা যেতে পারে। এই গরমে কেও অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে র্ভতি করার ব্যবস্থা নিতে হবে । ডা.এর মতে এই গরমে অতিরিক্ত বেশি ঘর থেকে বের না হওয়া বেশি বেশি ওরস্যালাইন ও পানি পান করা । তাপপ্রবাহের কালীণ অনেক বেশি রঙিন ও টাইট জামা না পরে ঢিলেঢালা জামা পরিধান করা।
আবহাওয়াবিদের তথ্যনুসারে, জানা গিয়েছে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দেশের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পযর্ন্ত অতিক্রম করলে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তথ্য মতে,বছর এমাসে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় গরমের তাপমাত্রা অধিক হয়েছে। গত শনিবার প্রায় দেশে ১২টি জেলায় তাপ প্রবাহ ছিল প্রায় ৪০ডিগ্রি সেলসিয়াসের ও বেশি।
রবিবার(২১শে এপ্রিল) ,আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেছেন , আগামী ২৪ থেকে ২৫ পর্যন্ত তাপ প্রবাহ কিছুটা কমার সম্ভবনা রয়েছ।
এদিকে ,স্বাস্থ্যঝুকি এড়াতে সকল দিক বিবেচনা করে আগামী নির্দেশনা পর্যন্ত (২২-২৭)তারিখ স্কুল,কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অরোও বন্ধ বাড়ানো হবে।
What's Your Reaction?






