AI ব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ম নিয়েও কাজ করছে।
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) তার ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত, বৃহস্পতিবার ২১র্মাচ যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আরো ১২৩ টি দেশ এই প্রস্তাবে ঐক্যমত প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও ঝুকি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিত্তার নিরাপত্তা নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ প্রথমবার আন্তর্জাতিক একটি চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। আরোও জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তাবের পক্ষে জাতিসংঘের ১৯৩ দেশ হ্যাঁ সমর্থন দিয়েছে। এক তথ্যসূত্রে জানা যায়,যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবটি দেশের ঝুঁকি প্রতাহার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রে প্রতেকটি দেশ সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করবে এবং ( AI ) জগতের পথ আরোও সুদীর্ঘ করবে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সংস্থা ( AI ) আইন বিষয়ক কাজ করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে ( AI ) এর প্রযুক্তি এত বিশাল ভাবে প্রভাব ফেলেছে যে শিল্প, সরকার এবং বিজ্ঞানপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ( AI ) মানবজীবনে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তেমনি কিছু নীতিবাচক প্রভাব ফেলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেশকে যেভাবে উন্নয়নের পথে পরিচালিত করছে ঠিক অনুরূপ ভাবে উন্নয়ন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বহু ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে যা সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকার ,জীবনযাত্রা,সুরক্ষা,এবং উন্নতির পথে হস্তক্ষেপ করতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি ( AI )এর কারণে সামাজিক বা আর্থিক ঝুঁকি কম হয় সে বিষয়ে বিভিন্ন নিয়মকানুন ও আইন প্রণয়ন নিয়ে কাজ করছে।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ম নিয়েও কাজ করছে। (AI )এর আইনি সুরক্ষার বিষয়ে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের সবার আগে সম্মতি প্রকাশ করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনজীবিরা এ মাসে একটি ক্ষণস্থায়ী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে জানা গিয়েছে।
What's Your Reaction?